WB Para Teacher Salary Update: রাজ্যের শিক্ষা মহলে বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা। বহুদিন ধরেই প্যারাটিচারদের (Para Teachers) বেতন বৃদ্ধির দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা সেই দাবি এবার বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার—এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্র বলছে, প্যারাটিচারদের বেতন কাঠামোয় বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার, সঙ্গে আসতে পারে পদের নতুন নামকরণও।

WB Para Teacher Salary Update

বহুদিনের বকেয়া দাবি, এবার বাস্তবায়নের পথে?

বর্তমানে রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্যারাটিচারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু বছর ধরে তাঁরা কম বেতনে কাজ করে আসছেন, অথচ স্কুলশিক্ষার মূল কাঠামোর বড় একটি অংশ তাঁদের উপরেই নির্ভরশীল। সেই প্যারাটিচারদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল—নিয়মিত শিক্ষকদের সমপর্যায়ের সুবিধা ও উপযুক্ত বেতন কাঠামো।

সূত্রের খবর, নতুন পরিকল্পনায় প্রাথমিক স্তরের প্যারাটিচারদের বেতন একধাক্কায় বাড়িয়ে মাসিক ₹৩৫,০০০ করার প্রস্তাব রয়েছে। আর উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্যারাটিচাররা পেতে পারেন মাসিক ₹৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে সহকারী শিক্ষকদের প্রাথমিক বেতনের কাছাকাছি চলে আসবে প্যারাটিচারদের বেতন।

যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি, তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যম ও প্রশাসনিক সূত্র বলছে—এই সিদ্ধান্তের খসড়া ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের মধ্যেই প্যারাটিচারদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা হতে পারে।

একজন প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন,

“এখনকার বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে নতুন করে স্কেল নির্ধারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের পদের নামেও পরিবর্তন আসতে পারে যাতে সম্মানজনক স্বীকৃতি মেলে।”

বর্তমানে কত বেতন পান প্যারাটিচাররা?

বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৪২ হাজার প্যারাটিচার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে:

  • প্রাথমিক প্যারাটিচাররা পান প্রায় ₹১০,০০০ টাকা বেতন
  • উচ্চ প্রাথমিক প্যারাটিচাররা পান প্রায় ₹১৩,০০০ টাকা বেতন

২০১৮ সালে শেষবার প্যারাটিচারদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। তার পর থেকে প্রতিবছর ৩% ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়, যা বহুদিন ধরেই তাদের কাছে অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছিল। ফলে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে প্যারাটিচাররা বহুবার পথে নেমেছেন, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

রাজ্যে যখন SSC দুর্নীতির জেরে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে, আদালতের নির্দেশে গোটা প্যানেল বাতিল করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হচ্ছে নতুন করে, তখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। শিক্ষা মহলের মতে,

“SSC-র জটিলতার মধ্যে প্যারাটিচারদের নতুন সম্মান ও বেতন কাঠামো নিশ্চিত হলে, তা রাজ্যের শিক্ষার মানেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

এই খবরে প্যারাটিচার মহলে স্বস্তি ও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার পর অবশেষে যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক হতে চলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকার হয়তো আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে একাধিক সামাজিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, যার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্র অন্যতম অগ্রাধিকার।

যদিও এখনও সরকারিভাবে ঘোষণা আসেনি, তবে যে হারে তথ্য সামনে আসছে তাতে পরিষ্কার—প্যারাটিচারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার এবার গুরুত্ব দিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু প্যারাটিচারদের মুখেই হাসি ফুটবে না, বরং গোটা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছবে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, জুলাই মাসের মধ্যেই এই সংক্রান্ত মিটিং হতে পারে নবান্নে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি অনেকের কাছে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ বলে মনে হলেও, বাস্তবে ভারত সরকার এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে — “আধার নাগরিকত্ব প্রমাণ নয়।”

এই প্রতিবেদনটিতে জানানো হবে ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে কোন নথিগুলি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ, এবং ভোটার তালিকা যাচাই-এ যেসব বিদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন তাদের প্রসঙ্গ।

 

কেন এই প্রশ্ন উঠছে?

 

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) জানিয়েছে যে, বিহার, অসম সহ বেশ কিছু রাজ্যে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় বাংলাদেশ, মায়ানমার ও নেপালের নাগরিকদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

এরা কীভাবে ভারতের ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছেন, তা নিয়েই উঠেছে বড় প্রশ্ন। আর সেই সূত্র ধরেই দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন —

“আমি কীভাবে প্রমাণ করব আমি ভারতীয়?”

 

আধার কি নাগরিকত্বের প্রমাণ?

 

না, আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।

এই বিষয়ে UIDAI (Unique Identification Authority of India) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে:

 

“Aadhaar is not a document of citizenship. It is a proof of identity and address only.”

 

এমনকি সুপ্রিম কোর্টও ২০২৫ সালের জুলাই মাসে হওয়া এক মামলায় এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করে —

“ভোটার আইডি, আধার ও রেশন কার্ড — এগুলিকে নাগরিকত্ব প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে কিনা?”

 

তাহলে কোন নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ?

 

ভারতের নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য নিচের ৪টি মূল নথিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়:

 

নথির নাম বিস্তারিত

জন্ম সনদ (Birth Certificate) জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ করার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তবে, এটি সরকারি স্বীকৃত সংস্থা কর্তৃক জারি হওয়া চাই।

পাসপোর্ট (Passport) কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক জারি করা এই নথি নাগরিকত্ব প্রমাণে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য।

ন্যাশনালিটি সার্টিফিকেট (Nationality Certificate) জেলা প্রশাসন বা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত, বিশেষ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইস্যু করে।

ন্যাচারালাইজেশন সার্টিফিকেট (Naturalization Certificate) বিদেশি নাগরিক ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর এটি ইস্যু করে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভোটার আইডি ও রেশন কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণ?

 

না, এরা পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র, নাগরিকত্বের নয়।

এই নথিগুলিতে নাম থাকা মানেই আপনি নাগরিক, এমন নয়। কারণ বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপালের বহু নাগরিক অবৈধভাবে তালিকায় ঢুকে পড়েছেন — কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে এমনই বলা হয়েছে।

 

আইনগত ভিত্তি: Indian Citizenship Act 1955 অনুযায়ী

 

ভারতে নাগরিকত্ব তিনভাবে পাওয়া যায়:

 

জন্মসূত্রে (By Birth)

উত্তরাধিকারসূত্রে (By Descent)

নিবন্ধনের মাধ্যমে বা প্রাকৃতিকীকরণ (By Registration/Naturalization)

NRC, Aadhaar ও নাগরিকত্ব বিভ্রান্তি

NRC (National Register of Citizens): নাগরিকদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া, যেখানে নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র চাওয়া হয়।

কিন্তু আধার ও ভোটার আইডি এখানে একমাত্র ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করবেন?

আপনি যদি নাগরিক হন, প্রমাণ রাখতে:

জন্ম সনদের কপি

ভোটার আইডি (সহায়ক হিসেবে)

আধার (পরিচয়ের জন্য)

পাসপোর্ট, যদি থাকে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডে জাতীয়তা

পরিবারের সদস্যদের জন্ম রেকর্ড

 

আধার বা ভোটার আইডি নয়, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে লাগবে বৈধ জন্মসনদ, পাসপোর্ট, ন্যাশনালিটি বা ন্যাচারালাইজেশন সার্টিফিকেট।

এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি, বিশেষ করে যখন ভোটার তালিকা থেকে বিদেশি নাগরিকদের বাদ দেওয়ার কাজ চলছে।

 

FAQs

প্রশ্ন: আধার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণ?

 

উত্তর: না, এটি শুধুমাত্র পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণ।

 

প্রশ্ন: ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই কি আমি ভারতীয়?

 

উত্তর: না, নাম থাকা মানেই নাগরিকত্ব প্রমাণ নয়। এটি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অংশমাত্র।

 

প্রশ্ন: জন্মসনদ না থাকলে কী করব?

 

উত্তর: বিদ্যালয় ছাড়পত্র, হাসপাতালে জন্ম রেকর্ড, বা স্থানীয় পৌরসভা/পঞ্চায়েত কর্তৃক ইস্যু করা জন্ম প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে পারেন।

By BT SOLUTIONS

BT SOLUTIONS IS AN ONLINE TECH NEWS WEBSITE.IN THIS PORTAL WE REGULARLY UPDATES TECH RELATED ANY ARTICLES.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *